empty
 
 
24.12.2025 08:46 AM
২৪ ডিসেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার প্রায় পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাব প্রভাবিত করতে। এগুলো হচ্ছে শিল্প উৎপাদন, তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি, এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। মার্কিন জিডিপি ৪.৩% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি; তবে শিল্প উৎপাদন ০.১% কমেছে, এবং সেইসাথে ডিউরেবল গুডস অর্ডার ২.২% কমেছে। ফলে আমরা আবারও 'পরস্পরবিরোধী' পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি—সামগ্রিকভাবে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটছে, অথচ বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকই নিম্নমুখী ফলাফল প্রদর্শন করছে। সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলেই এমন ধরনের অসঙ্গতি সম্ভব। মার্কেটের ট্রেডাররা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে যে বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোনো নির্ভরযোগ্য সূচক নয়, এবং এটি ডলার কেনার জন্য উপযুক্ত কারণও নয়। তাই প্রতিবেদন প্রকাশের পর কিছু সময়ের জন্য ডলারের দর সামান্য বেড়ে গেলেও, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আবার ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং আমাদের মতে, মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে নতুন কোনো ট্রেডিং সিগনালের গঠিত হয়নি। সর্বশেষ ট্রেডিং সিগনালটি সোমবার সন্ধ্যায় গঠিত হয়েছিল, যখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3437–1.3446 এরিয়া ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়। পরবর্তীতে রাতেরবেলা এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই এরিয়া থেকে মূল্যের বাউন্স হলে সামান্য দরপতন ঘটতে পারত।

বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট শেষ হয়েছে এবং পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু করেছে। আমরা বারবার বলেছি যে এই ধরনের পরিস্থিতির ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল। মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো কারণ নেই, তাই আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশা করছি। সার্বিকভাবে, আমরা আশা করছি ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও শুরু হবে, যা আগামী দুই মাসের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.4000 লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

বুধবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করে উপরে উঠে যায়, তাহলে মূল্যের 1.3574–1.3590 এরিয়ার দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন ট্রেডাররা নতুন লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তাহলে মূল্যের 1.3437–1.3446-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।

৫-মিনিটের চার্টে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3437-1.3446, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। বুধবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র—কোনো দেশেই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবুও, ক্রিসমাস ও নববর্ষের আগে মার্কেটে বেশ সক্রিয়ভাবে ট্রেডিং করা হচ্ছে। বর্তমানে "থিন" মার্কেট বা স্বল্প লিকুইডিটি বিরাজমান, যার ফলে মার্কেট মেকাররা তুলনামূলকভাবে সহজেই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হচ্ছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.